ঈদ জামাতে বৃষ্টির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত
২২ এপ্রিল ২০২৩ ১০:৪২ মিনিট

সারা দেশে বেশ কয়েকদিন ধরে টানা দাবদাহ চলছে। সঙ্গে যোগ হয়েছে বৃষ্টিশূন্যতা। এতে গরমে অতিষ্ঠ মানুষ। তাই পরিবেশ শীতল ও রোদের উত্তাপ থেকে স্বস্তি পেতে ঈদের জামাতে বিশেষ দোয়া করা হয়।শনিবার (২২ এপ্রিল) সকাল ৭টায় বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ঈদের দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে ইমাম বিশেষ খুতবা দেন। এরপর সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির মুক্তিসহ কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। প্রথম জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন একই মসজিদের মুয়াজ্জিন মো. ইসহাক।মাওলানা মো. মিজানুর রহমান মোনাজাতে বলেন, তীব্র গরমে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে। তাই এই গরম থেকে রক্ষা ও পএদিকে মহামারি করোনার কারণে গত দুই বছর কোলাকুলিতে নিষেধাজ্ঞা ছিল। করোনা এখন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে। তাই এবার কোলাকুলিতে কোনো বাধা নেই। নামাজ শেষে মুসল্লিদের মধ্যে একে অপরের সঙ্গে কুশল বিনিময় ও কোলাকুলি করতে দেখা দেছে।এর আগে সকাল ৬টার আগে থেকেই জাতীয় মসজিদে ঈদের জামাত আদায়ে ভিড় করতে থাকেন মুসল্লিরা। সকাল সাড়ে ৬টায় মসজিদের ভেতর মুসল্লিতে পরিপূর্ণ হয়ে যায়।এদিকে ঈদ জামাতকে কেন্দ্র করে জাতীয় মসজিদ এলাকায় এবং মসজিদের প্রতিটি গেটে পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি ছিল। ব্যাগ নিয়ে আসা অনেককেই পুলিশ তল্লাশি করেন।বায়তুল মোকাররমে ঈদের মোট পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে।ঈদের প্রধান জামাতরিবেশ শীতল করতে বৃষ্টির প্রার্থনা করি।এ সময় দেশের ওপর রহমতসহ মুসলিম উম্মার মুক্তি কামনা করে দোয়া করা হয়। মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয় ঈদের প্রথম জামাত।বরাবরের মতো এবারও রাজধানীতে ঈদের প্রধান জামাত হবে হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ইদগাহ মাঠে, সকাল সাড়ে ৮টায়। আবহাওয়া প্রতিকূল হলে বা অন্য কোনো কারণে সেটি সম্ভব না হলে সকাল ৯টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান জামাতে ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি রুহুল আমিন। এ জামাতে অংশ নেবেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদ, কূটনৈতিকসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ।ঈদ জামাতের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত করা হয়েছে হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ইদগাহ মাঠ। সেখানে একসঙ্গে প্রায় ৩৫ হাজার মানুষের নামাজ পড়ার ব্যবস্থা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। প্রধান ঈদ জামাত ঘিরে কয়েক স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা ঈদগাহ মাঠ পরিদর্শন করে জঙ্গি হামলাসহ অন্যান্য নিরাপত্তার কোনো হুমকি নেই বলে আশ্বস্তও করেছেন।