দেশে ৬২ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি লবণ উৎপাদন

News Depend Desk

প্রতিনিধিঃ ডেস্ক রিপোর্ট

২৭ এপ্রিল ২০২৩ ০৭:৪৫ মিনিট


পোস্ট ফটো

গত ২৫ এপ্রিল দেশে ১০ হাজার ৯৩০ মেট্রিক টন লবণ উৎপাদন হয়েছে। এ নিয়ে চলতি মৌসুমে মোট লবণ উৎপাদনের পরিমাণ ১৮ লাখ ৩৯ হাজার মেট্রিক টন। গত ৬২ বছরের মধ্যে যা সর্বোচ্চ।বুধবার (২৬ এপ্রিল) বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) থেকে এ তথ্য জানানো হয়।২০২২ সালে দেশে লবণ উৎপাদন হয়েছিল ১৮ লাখ ৩২ হাজার মেট্রিক টন। চলতি মৌসুমে লবণ চাষের জমি ৬৬ হাজার ৪২৪ একর, গত বছর যা ছিল ৬৩ হাজার ২৯১ একর। ফলে গত বছরের তুলনায় এ বছর লবণ চাষের জমি বেড়েছে ৩ হাজার ১৩৩ একর। চলতি মৌসুমে লবণ চাষি ৩৯ হাজার ৪৬৭ জন, গত বছর যা ছিল ৩৭ হাজার ২৩১ জন। গত বছরের তুলনায় এ বছর লবণ চাষি বেড়েছে ২ হাজার ২৩৬ জন।আমদানি না করে দেশে লবণ উৎপাদনের মাধ্যমে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্যে চলতি মৌসুমে এক মাস আগেই লবণ চাষিদের মাঠে নামানো হয়। গত মৌসুমে লবণ উৎপাদন শুরু হয় ৩০ নভেম্বর। চলতি মৌসুমে লবণ উৎপাদন শুরু হয় ২৪ অক্টোবর। লবণ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্যে স্বল্পমেয়াদি (এক বছর), মধ্যমেয়াদি (১-৫ বছর) এবং দীর্ঘমেয়াদি (৫ বছরের ঊর্ধ্বে) কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। এই কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী আধুনিক পদ্ধতিতে লবণ চাষিদের অগ্রিম লবণ চাষে উদ্বুদ্ধ করা ও প্রশিক্ষণ, লবণ চাষের নতুন এলাকা চিহ্নিত করা এবং সম্প্রসারণ, সহজ শর্তে লবণচাষিদের ঋণ প্রদান, একর প্রতি লবণ উৎপাদন বাড়ানো, প্রকৃত লবণ চাষিদের জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়।এছাড়াও লবণ চাষের জমির লিজ মূল্য নির্ধারণ, লবণ চাষের জমি সংরক্ষণ, আধুনিক পদ্ধতিতে লবণ উৎপাদনে প্রদর্শনী ও উৎপাদিত লবণের মান নিয়ন্ত্রণে কারিগরি সহায়তা প্রদান করা হয়। একই সঙ্গে এ বিষয়ে জরিপ পরিচালনা, লবণ চাষ এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ এবং লবণ উৎপাদন, মজুত ও মূল্য নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।চলতি মৌসুমে লবণ উৎপাদন এখনো অব্যাহত আছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ২০ লাখ মেট্রিক টনের অধিক লবণ উৎপাদন করা সম্ভব হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

For Add
300 X 250

Link copied