চট্টগ্রামে ১৬০০ টাকার এলপিজি সিলিন্ডার ৩ হাজারে বিক্রি
১৫ মে ২০২৩ ১০:০৮ মিনিট

চট্টগ্রাম নগরে অন্যান্য সময়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) সিলিন্ডার ১ হাজার ৬০০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়। তবে লাইনের গ্যাস সংকটের কারণে বর্তমানে এলপিজি সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে আড়াই হাজার থেকে ৩ হাজার টাকায়। এমতাবস্থায় অভিযান পরিচালনা করে ছয়টি দোকানকে ৪৮ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জেলা প্রশাসন। রোববার (১৪ মে) রাতে নগরের বিভিন্ন এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্তের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে মহেশখালীর দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এতে করে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) লাইনে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। এই সংকট আরও কয়েকদিন থাকবে বলে জানায় কোম্পানিটি। এই সুযোগে কারসাজি করে এলপিজি সিলিন্ডারের দাম বাড়িয়ে ফেলেছে একটি সিন্ডিকেট চক্র।জেলা প্রশাসন জানায়, সরকার নির্ধারিত ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের মূল্য ১ হাজার ১৭৬ টাকা। সিলিন্ডারসহ সাধারণ সময়ে এই দাম থাকে ১ হাজার ৬০০ থেকে ২ হাজার টাকার মধ্যে। রোববারের অভিযানে নগরের ষোলশহর রেলস্টেশন এলাকায় তাহের স্টোরে গিয়ে দেখা যায়, সিলিন্ডারসহ গ্যাস বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার টাকায়। পাশের দোকান সোহেল স্টোরে দেখা যায়, গ্যাসের সঙ্গে চুলা কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে। পুরো সেট বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ৫০০ টাকায়। এসময় তাহের স্টোরকে ২০ হাজার ও সোহেল স্টোরকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।এরপর নগরের এনায়েত বাজারে দেখা যায়, অধিকাংশ দোকানে গ্যাস বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার টাকায়। সেখানে কিচেন ট্রেডার্সকে ১০ হাজার টাকা এবং আরও তিনটি দোকানকে ১৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত বলেন, অনিয়মের দায়ে ৬ দোকানকে ৪৮ হাজার টাকা জরিমানা ও সতর্ক করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।কেজিডিএল কর্মকর্তারা জানান, চট্টগ্রামে বিভিন্ন খাতে ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুটের মতো গ্যাসের চাহিদা রয়েছে। এসব গ্যাস এলএনজি টার্মিনাল থেকে সরবরাহ করা হয়। ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে মহেশখালীর দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল শুক্রবার (১২ মে) রাত ১১টা থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এ কারণে গ্যাসের সংকট তৈরি হয়েছে। গ্যাস বন্ধ রাখার বিষয়ে কেজিডিসিএলের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তা আবু তাহের মাসুদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, গ্যাস সরবরাহ একদম বন্ধ রয়েছে। জাতীয় গ্রিড থেকে কিছু গ্যাস চাওয়া হয়েছে। সেখান থেকে দুয়েকদিনের মধ্যে পাওয়া গেলে সংকট কিছুটা কাটবে।